ভূমিকা:
- ভার্জিনিটি নিয়ে সমাজে অনেক ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকেই মনে করেন, একজন মেয়ে ভার্জিন কিনা তা শারীরিক লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব। তবে বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী এটি সম্পূর্ণ ভুল।আজ আমরা জানবো ভার্জিনিটি সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা এবং বাস্তব সত্য।
ভার্জিনিটি কী?
- ভার্জিনিটি সাধারণত এমন একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ধারণা, যা শারীরিক সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত। এটি কোনো বৈজ্ঞানিক বা শারীরিক অবস্থার প্রমাণ নয়। চিকিৎসা শাস্ত্রে “ভার্জিনিটি” নির্ধারণের কোনো বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড নেই।
হাইমেন (Hymen) কি ? হাইমেন (Hymen) থাকা মানেই ভার্জিনিটি?
- জন্মানোর পর মেয়েদের যোনীমুখে এক ধরনের পর্দা থাকে, যেটাকে সতীচ্ছদ বা হাইমেন বলে। যোনীচ্ছদ বা সতীচ্ছদ হচ্ছে মিউকাস মেমব্রেন দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাঁজ, যা যোনির প্রবেশমুখ আংশিক বা সম্পূর্ণ আবৃত করে রাখে। এটি ভালভার বা বহিঃস্থ যৌনাঙ্গের অংশবিশেষ গঠন করেন। তবে এই পর্দাটি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক নিয়মেই ছিঁড়ে যায়। যাদের পর্দাটি একটু মোটা হয়, তাদের সহসা ছেঁড়ে না। তখন চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে কাটিয়ে আনতে হয়। এটা বিরল ঘটনা হলেও হয়।
অনেকে মনে করেন, হাইমেন অক্ষত থাকলে একজন মেয়ে ভার্জিন, আর ছিঁড়ে গেলে তিনি ভার্জিন নন। কিন্তু বাস্তবে:কিছু মেয়ের জন্মগতভাবেই হাইমেন থাকে না। খেলাধুলা, সাইক্লিং, দৌড়ানো বা অন্যান্য় দৈনন্দিন কাজের কারণেও হাইমেন ছিঁড়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কের পরেও হাইমেন অক্ষত থাকতে পারে।
সুতরাং, হাইমেনের অস্তিত্ব বা অবস্থা দিয়ে ভার্জিনিটি নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
- ভার্জিনিটি পরীক্ষার কোনো বৈজ্ঞানিক উপায় নেই! কোনো চিকিৎসক বা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় যে, কেউ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন কিনা। কারণ: “ভার্জিনিটি” একটি সামাজিক গঠন, যা একেক সমাজে একেকভাবে সংজ্ঞায়িত হয়। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তির ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপর নির্ভরশীল। কোনো শারীরিক লক্ষণ দ্বারা এটি নির্ধারণ করা যায় না। একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে। কোনো ব্যক্তির অতীত নিয়ে সন্দেহ না করে পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল মনোভাব তৈরি করাই সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ|
ভার্জিনিটি সম্পর্কিত ভুল ধারণাগুলো সমাজ থেকে দূর করা জরুরি। এটি কোনো শারীরিক প্রমাণযোগ্য বিষয় নয় বরং একটি সাংস্কৃতিক বিশ্বাস। সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অপরকে সম্মান ও বিশ্বাস করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না! মন্তব্যে আপনার মত শেয়ার করুন। 😊
- আমরা সবদিক বিবেচনা এবং রিসার্চ করে আমাদের কনটেন্ট গুলো লিখি । আমাদের মূল লক্ষ হচ্ছে পাঠকদের ভালো ভালো কনটেন্ট উপহার দেওয়া যার দ্বারা তারা কিছু জানতে শিখতে পারবে। সাধারণ জ্ঞান বাড়বে।.. সাধারণ চিন্তা করতে শিখবে।.. আমাদের লেখার মধ্যে কিছু ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে তা আপনারা ক্ষমার চোখে দেখবেন আর অভিযোগ বা যেকোনো কিছু জানাতে চাইলে আপনারা আমাদের কনটেন্ট এর কমেন্ট বক্স এ আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য করে যাবেন।.. আমরা তা যথাযথ মেনে চলবো।
Concepts about virginity: What science says!
There are many misconceptions about virginity in society. Many people think that it is possible to understand whether a girl is a virgin or not by looking at physical signs. However, according to science and medical science, this is completely wrong. Today we will know some common misconceptions and real truths about virginity.
What is virginity?
Virginity is generally a social and cultural concept associated with physical relationships. It is not a scientific or physical condition. There is no scientific standard for determining “virginity” in medical science.
What is a hymen? Does having a hymen mean virginity?
After birth, girls have a kind of curtain at the entrance to the vagina, which is called the hymen. The hymen is a fold of mucous membrane that partially or completely covers the entrance to the vagina. It forms part of the vulva or external genitalia. However, this curtain naturally tears with age. Those whose curtain is a little thicker do not tear easily. Then they have to be cut off at a medical center. This is a rare occurrence, but it does happen.
There is no scientific way to test virginity! No doctor or test can tell for sure whether someone has had a physical relationship or not. Reason: “Virginity” is a social construct, which is defined differently in each society. It is only dependent on the personal experience of the person. It cannot be determined by any physical signs. A relationship is built on trust, love and mutual understanding. It is important for a relationship to create a mutual respect without doubting a person’s past.